Spread the love

সায়ন দেবনাথ : কল্যাণী, ২৩ সেপ্টেম্বর,২০২৪।  বাংলা সাহিত্যে দার্শনিক প্রভাব নিয়ে একদিনের আলোচনাসভা হল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইতিহাস বলছে বৌদ্ধ সহজিয়া তান্ত্রিক কবিদের দ্বারা শুরু হয়েছিল বাংলা সাহিত্য। হাজার বছরের বাংলা সাহিত্যে শাক্ত, বৈষ্ণব, বাউল-ফকির সহজিয়া, ইসলাম সংস্কারধর্মী আন্দোলন, বৌদ্ধভক্তি দর্শন সবই প্রভাব ফেলেছে। এইসব বিষয়কে কেন্দ্র করে সাহিত্য অকাদেমি (পূর্বাঞ্চলীয়)-এর সঙ্গে সাংস্কৃতিক যোগ শুরু করল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের যৌথ উদ্যোগে সোমবার অনুষ্ঠিত হল ‘বাংলা সাহিত্যে বিভিন্ন দার্শনিক ধারার প্রভাব’ নামের একদিনের আলোচনাসভা। এই সভার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অমলেন্দু ভুঁইয়া। তিনি জানান, “বহু ভাষা, বহু ধর্মের দেশ ভারতবর্ষ। এই দেশের যে কোনও ভাষার সাহিত্যে বহুত্ব থাকুক, বহু ধারা প্রবাহিত হোক—এটাই কাম্য। বাংলা সাহিত্যও যে এই ধারায় পুষ্ট তা আজকের আলোচনাসভায় স্পষ্ট হল।”
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক অধ্যাপক সুখেন বিশ্বাস উপস্থিত সাংবাদিকদের জানালেন, “সাহিত্যের বিষয়বৈচিত্র পড়ুয়াদের সকল ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখায়। এদিনের আলোচনাসভায় এই বিষয়ভাবনার উপরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় চারশো গবেষক ও ছাত্রছাত্রী নাম নথিভুক্ত করেছে।” সাহিত্য অকাদেমির (পূর্বাঞ্চল)-এর কার্যক্রম আধিকারিক অভিষেক রথ অংশগ্রহণকারী সকল বক্তা, গবেষক ও ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানান।
বাংলার বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, “বিভিন্ন দার্শনিক ধারা যদি সাহিত্যকে প্রজ্জ্বলিত করে, তবে তার দ্বারা ছাত্রছাত্রী, দেশ, সমাজ সবই আলোকিত হয়। বাংলা সাহিত্য এইভাবেই সমৃদ্ধ হয়েছে।” অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক ও লেখক যথাক্রমে অসীমানন্দ গঙ্গোপাধ্যায়, ঈপ্সিতা হালদার, শেখ মকবুল ইসলাম, সুমিত কুমার বড়ুয়া, সর্বানন্দ চৌধুরী প্রমুখ।