Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ৩০ জুন ২০২৪।গত ২৮ জুন শুক্রবার তপন থিয়েটারে সমসাময়িক বিষয় ভিত্তিক নাট্য আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল দক্ষিণ কলকাতা কলাকুশলী। আলোচনার বিষয় ছিল “নাটক নির্মাণ ও অভিনয়ের ধরনের ওপর অন্যান্য মিডিয়ার প্রভাব “।
অতিথি বক্তা হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন অধ্যাপক সোমনাথ গুপ্ত , নাট্য বিভাগ, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধ্যাপিকা সেঁজুতি মুখার্জি, বিবেকানন্দ কলেজ ,কলকাতা।
আলোচনা পর্বের শুরুতে দুই আমন্ত্রিত বক্তাকে সংবর্ধনা জানান  সংস্থার সভাপতি ডক্টর সৌরভ চন্দ্র এবং সংস্থার নির্দেশক শ্রীমতি রাজশ্রী।
সংস্থার সম্পাদক সুদর্শন দাস নাট্য আলোচনা সভার উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে উপস্থিত সাংবাদিকদের অবগত করেন এবং দুজন অতিথি বক্তার নাট্যজীবন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
অধ্যাপক সোমনাথ গুপ্ত বিষয়ভিত্তিক আলোচনা মাধ্যমে জানান বর্তমান অনেক নাটকে মিডিয়ার প্রভাব রয়েছে অর্থাৎ উন্নত টেকনোলজির ব্যবহার হয়েছে। আবার কিছু কিছু নাটকে উন্নত টেকনোলজির ব্যবহার ছাড়াও সেগুলো যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে। নাটকের মাধ্যম বহু প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। টেকনোলজি নির্ভর চলচ্চিত্র বেশি পুরনো নয়। নাটকে উন্নত টেকনোলজির ব্যবহার করে নাটকের আবহ লাইট ও স্বর উন্নত করা যেতে পারে। উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার করে অভিনয়ের ধরনও পাল্টেছে এবং সাথে সাথে নাট্যনির্মাণের পদ্ধতিগত তফাৎও ঘটেছে।
অপর বক্তা অধ্যাপিকা সেঁজুতি মুখার্জি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য বলেন নাটক অত্যন্ত বলিষ্ঠ মাধ্যম। অন্য কোন মিডিয়ার প্রভাব ছাড়াই নাটক সাবলীল স্বচ্ছন্দ গতিতে এগিয়ে চলতে পারে কিন্তু বর্তমান নাটকের অতিশয় টেকনোলজি নির্ভরতা ভবিষ্যতে নাটকের মান কোথায় দাঁড়াবে সেটাই দেখার। অতীতের কিছু বিখ্যাত নাটক যেগুলোতে টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়নি এবং বর্তমানে চূড়ান্ত টেকনোলজি নির্ভর নাটকের কিছু ভিডিও ক্লিপিং অধ্যাপক সোমনাথ গুপ্ত মহাশয় প্রজেক্টর মেশিনের মাধ্যমে নাট্য প্রেমীদের দেখান এবং এই দুই নাট্যনির্মাণের তফাৎটা বোঝাবার চেষ্টা করেন।
তবে ভালো প্রযোজনার ক্ষেত্রে তিনি এটাও বলেন যে যদি প্রয়োজন হয় তবে টেকনোলজির ব্যবহার করা যেতে পারে নচেৎ সাদামাটা নাটকের মাধ্যমেও দর্শকদের মনের কাছে পৌছানো সম্ভব।
প্রেক্ষাগৃহপূর্ণ লোকের সমাগম হয়েছিল ওই দিনের অনুষ্ঠানে।
নাট্যমোদী মানুষ ছাড়াও বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন ওইদিনের নাট্য আলোচনা সভায়। পি সি সেন চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এর পৃষ্ঠপোষকতায় দক্ষিণ কলকাতা কলা কুশলীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই দিনের অনুষ্ঠান বেশ তথ্যনির্ভর ও শিক্ষণীয় হয়েছে বলে উপস্থিত দর্শকদের অভিমত। সামাজিক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নাট্য সংস্কৃতি ও কৃষ্টি প্রসারের যে উদ্যোগ দক্ষিণ কলকাতা কলাকুশলী নিয়েছে সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য।