শু ভ জ ন্ম দি ন শী র্ষে ন্দু মু খো পা ধ্যা য়
“হঠাৎ একটা লাইন এসে যায়। ওই যেমন তুলোর থেকে একটা একটা করে সুতো বেরিয়ে আসে, তেমনি ওই লাইন থেকে শব্দেরা ভিড় জমায়। ভাবনা শুরু হয়। চরিত্র আসে, ঘটনা আসে। আমি শব্দ দিয়ে ছবি দেখতে আরম্ভ করি।”
[ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ]
বাবলু ভট্টাচার্য : “মাটি থেকে ইট হয়, ইট থেকে বাসা—বাসা পুরাতন হয়ে ভেঙে যায়।”- ‘পার্থিব’ উপন্যাসে লিখেছিলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
এই বাংলা থেকে বাসাবাড়ি গুটিয়ে একদিন শীর্ষেন্দুদের পরিবার চলে গিয়েছিল কলকাতায়। তারপর সেখানেই তাঁর লেখক হয়ে ওঠা।
এই সময় রেলওয়েতে চাকুরিরত পিতার সঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে জীবন অতিবাহিত করেন।
তিনি কোচবিহারের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শীর্ষেন্দু একজন বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন।
তাঁর প্রথম গল্প ‘জলতরঙ্গ’ শিরোনামে ১৯৫৯ সালে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সাত বছর পরে ঐ একই পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে ‘ঘুণপোকা’ নামক প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়।
ছোটদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘মনোজদের অদ্ভূত বাড়ি’।
তাঁর লেখা থেকে বেশ কিছু চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘গয়নার বাক্স’, ‘কাগজের বউ’, ‘এবার শবর’, ‘দোসর’ সহ আরো কিছু সিনেমা।
কিন্তু এর কোনোটিতেই সন্তুষ্ট নন তিনি। তিনি মনে করেন তাঁর লেখা থেকে যেসব সিনেমা বানানো হয়েছে, তার কোনোটাই ভালো হয়নি।
আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন দু’বার, কিশোর সাহিত্যে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার। ১৯৮৯ সালে পান সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের জন্যও অক্লান্ত তাঁর কলম।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ১৯৩৫ সালের আজকের দিনে (২ নভেম্বর) বাংলাদেশের ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন।