গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। বিধান নগরের ডি ডি ব্লকে এই উপনগনীর প্রায় জন্মলগ্নে স্থাপিত হয়েছিল বিধান নগর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ কেন্দ্র। ১৯৭৪ সালে স্থাপিত হয়েছিল এই কেন্দ্র। শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেব সারদা মাতা এবং স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্য ও ভক্তদের অন্যতম আকর্ষণ কেন্দ্র হলো বিধান নগর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ কেন্দ্র। কলকাতা সহ রাজ্যের ভক্তগণ আসেন এই মন্দির দর্শনে। অসাধারণ পরিবেশ এই মন্দিরের একবার না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। আজ শনিবার সুবর্ন জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন শুরু হলো। ২০২৪-২০২৫ সাল জুড়ে সারা বছর ধরে চলবে নানাবিধ অনুষ্ঠান। এদিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় উদ্বোধনী সঙ্গীতের মাধ্যমে। এরপর অতিথিদের সংস্থার পক্ষ থেকে ফুল এবং উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। প্রথমে বক্তব্য রাখেন গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী সুপর্ণনন্দ মহারাজ। স্বামীজীর অসাধারণ মর্মস্পর্শী বক্তব্য উপস্থিত দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এদিনই বিধান নগর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ কেন্দ্রের ওয়েবসাইটটির আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করলেন স্বামী সুপর্ননন্দ মহারাজ। এর পরবর্তী সময়ে বক্তব্য রাখেন উত্তর কলকাতায় বিবেকানন্দ বাড়ির সম্পাদক স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ মহারাজ। তিনি বিধান নগর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ স্কুলের উপস্থিত ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীদের সাথে একাত্ম হয়ে এমন ভাবে জীবনের শিক্ষা দান করছিলেন যা এক কথায় বলা যেতে পারে অনবদ্য এবং অসাধারণ। কেবল ছোটরাই নয় বড়দের ও বহু কিছু শিক্ষনীয় ছিল। উপস্থিত দর্শকগণ স্বামীজীর বক্তব্য উপভোগ করছিলেন। উপস্থিত ছাত্র ছাত্রীদের মধ্য থেকে দুজন সঠিক উত্তর দাতাদের স্বামীজী নিজের হাতে শাল পরিয়ে দিয়ে উৎসাহিত করেন। এই দিনের অনুষ্ঠানে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক তরুণ গোস্বামী। স্বামী স্তুতানন্দ মহারাজ সংগীত পরিবেশন করেন। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউটাউনের রূপকার শ্রী দেবাশীষ সেন, বিধান নগর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ স্কুলের প্রিন্সিপাল শ্রীমতি সুস্মিতা মুখার্জী সহ বিশিষ্টজন। এদিনের অনুষ্ঠানে ৫০ জন ছাত্র ছাত্রী সহ প্রায় ২৫০ জন উপস্থিত হয়েছিলেন অনুষ্ঠান কক্ষে।
অনুষ্ঠান শেষে সকলের জন্য ছিল সুস্বাদু প্রসাদ । সমগ্ৰ অনুষ্ঠানটি অসাধারণ দক্ষতার সাথে সঞ্চালনা করেন শিক্ষাবিদ শ্রীমতি উর্মিলা সেন।