গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ৫ অক্টোবর ২০২৪। খাদ্য সংগ্রহ শুধু উদরপূরণের জন্য নয়, শক্তির জন্যই খাদ্য সংগ্রহ একান্তই জরুরি। তাই ভিজিটেল হোটেল সংস্থার শক্তিরূপেন পুজোর ভোজ সার্থক নামকরণ। প্রবাদ অনুযায়ী মাছে ভাতে বাঙালি এই কথাটা আর প্রযোজ্য নয়। বাঙালি এখন সর্বভূক। কেবলমাত্র মাছের স্বাদ নিয়ে আম বাঙালি আর খুশি থাকে না। এখন বিশ্বের সব ধরণের খাবার পছন্দ করেন ভোজন পিপাসু বাঙালি। বাঙালির কাছে পুজোর সময় একটা আলাদা বার্তা বহন করে। সব বাঙালির একটাই ইচ্ছে কব্জি ডুবিয়ে খাও আর দুর্গা মায়ের দর্শন করো। সব বয়সের মানুষ
পুজোর কদিন প্রতিদিনের বাড়ির খাবার কে দূরে সরিয়ে রেখে নানান ধরণের খাবারের স্বাদ নিতে হোটেল রেস্তোরাঁয় পদার্পন করে।
পূর্ব কলকাতার বাইপাসের ধারে অ্যাপেলো হাসপাতালের পাশে ভিজিটেল হোটেলের সোল কিচেন রেস্তোরাঁয় পুজোর কদিন অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত লাঞ্চ ও ডিনারে থাকছে শক্তিরূপেন ভোজের আয়োজন। সাধারণ মধ্যবিত্তের সাধ ও সাধ্যের মেলবন্ধন ঘটিয়ে কর সমেত মাত্র ৭৯৯/- টাকার ব্যুফে ও আলাকার্ট ব্যবস্থা থাকছে। অনলাইনে বুকিং, গ্রূপে বুকিং এবং ফোনের মাধ্যমে অগ্রিম বুকিং করলে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা থাকবে। বাংলার সাবেকি ঘরোয়া রান্নার একটি বিশাল তালিকা হোটেল কতৃপক্ষ উপস্থিত সাংবাদিকদের হাতে তুলে দিলেন।জেনে নিন কি আছে এই মেনু তে। আপ্যায়ন পানীয়তে থাকছে আমপোড়া সরবত, গন্ধরাজ ঘোল, কোমল পানীয়। শুরুর পাতে ডিমের ডেভিল, চিকেন টিক্কা , মোচার চপ, ভিক্টোরিয়া বড়া , ভেজিটেবল কাটলেট।
মূল পর্বে বেছে নিতে পারবেন- কলকাতা স্টাইল হান্ডি মুর্গ বিরিয়ানি, মটন কষা, কাঁচা লঙ্কাবাটা দিয়ে ভাপা পারশে সর্ষে, মাছের ডিমের টক, কড়াইশুঁটি -ধোকার ডালনা, আলু -পোস্ত, শুকতো, পাঁচমিশালী চচ্চড়ি, সবজি দিয়ে মুগ ডাল, নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল, বাসন্তী পোলাও, ঘি ভাত, লুচি, রাধাবল্লভি, কুলের টক, আমসত্ত্ব খেজুরের চাটনি, প্লাস্টিক চাটনি, ফ্রুটি চাটনি, আলু -চানা চাট, গ্রিন সালাড, লাচা অনিয়ন ,মিক্সড পিকল, টক দই , রায়তা, আলু পাঁপড়, চিংড়ি পাঁপড়, সাবুদানা পাঁপড়, ভাজা পাঁপড়, আলুঝুরি ভাজা, বেগুন ভাজা, মিষ্টি কুমড়ো ভাজা, করলা ভাজা, বড়ি দিয়ে শাক ভাজা , গোবিন্দভোগ ক্ষীর, বেকড রসগোল্লা, মিনি গুলাব জামুন, মুজি , গরম মালপোয়া সঙ্গে রাবড়ি, আইসক্রিম।
হোটেলের অপেরাশনস ম্যানেজার তুহিন রায় জানালেন,বছরভর জীবন সংগ্রামে মধ্যবিত্ত বাঙালি ব্যস্ত থাকেন।উৎসবের কটা দিন একটু অবসর। অবসরের সঙ্গী ভুরি ভোজ। বাঙালির আদি ও অকৃত্রিম রন্ধনশৈলী। আমরা সেটাই এবার নিবেদন করছি খাদ্যরসিক গ্রাহকদের কাছে। হোটেলে আছে থাকার ব্যবস্থা। কম খরচে উৎসব উপভোগ করতে আমরা সকল অতিথিদের স্বাগতম জানাচ্ছি। সোল কিচেনের প্রধান শেফ শান্তনু ঘোষ জানালেন, বাঙালি সারা বছর যেসব পদ ঘরে খেয়ে অভ্যস্ত বা কাজের চাপে রাস্তায় যত্রতত্র খেতে হয়, বাড়ির খাবারে বঞ্চিত হন, তাঁদের কথা মনে রেখে আমরা পুজোর কদিন এই ভোজের মেনু ঠিক করেছি। বাজেট ফ্রি সাইট ব্যূফে বা আলাকার্ট যেমন খুশি চেখে দেখুন ভিজিটেলর হোটেলের সোল কিচেনের সেরা সব স্বাদের পদ। ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ম্যানেজার সৌমিত্র রাউত জানান বুকিং চলছে। মাস বুকিংয়ের ছাড়ের সুযোগও আছে। আমরা সবদিক থেকে প্রস্তুত আছি। চলে আসুন দেখা হবে।
ছবি- সায়ন দেবনাথ।