Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ৮ জানুয়ারি ২০২৫: অনামা নায়কদের কৃতিত্ব দেওয়ার পথে আরেকটি বড় পদক্ষেপ, ভারতের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য পরিচর্যা প্রদানকারী মনিপাল হসপিটাল আজ চালু করল ‘প্রকৃত নায়কদের সেলাম’ উদ্যোগ, হেলথকেয়ার ব্যবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি দিতে। এই ইভেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল বিশ্ব অ্যাম্বুল্যান্স দিবসের সঙ্গে সংগতি রেখে, যা প্রতি বছর গোটা পৃথিবীতে ৮ জানুয়ারি পালিত হয়। এই দুর্দান্ত সেশনে ছিলেন কলকাতার মনিপাল হসপিটালের সব ইউনিটের প্রথম সারির কার্ডিওলজিস্ট, নিউরোলজিস্ট এবং ইআর বিশেষজ্ঞরা, যাঁরা এই ধরনের উদ্যোগের গুরুত্ব এবং অ্যাম্বুল্যান্স চালকদে বেসিক লাইফ সাপোর্ট (বিএলএস) প্রশিক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে তাঁদের অন্তর্দৃষ্টি ভাগ করে নেন।
এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন মনিপাল হসপিটালের প্রসিদ্ধ ক্লিনিসিয়ানরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন ডা. পিকে হাজরা, ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট, মনিপাল হসপিটাল, ঢাকুরিয়া, ডা. অপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়, কনসালট্যান্ট, নিউরোলজিস্ট, মনিপাল হাসপাতাল, ব্রডওয়ে, ডা. বিকাশ কাপুর, ভাইস চেয়ারম্যান, গ্রুপ ডিরেক্টর, জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট অ্যান্ড অর্থ্রোস্কোপিক সার্জন, মেডিকা ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিক সায়েন্সেস, মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হসপিটাল (মনিপাল হসপিটালের একটি ইউনিট). ডা. নির্মাল্য রায়, কনসালট্যান্ট, নিউরো ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজিস্ট, মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হসপিটাল (মনিপাল হসপিটালের একটি ইউনিট), এঁদের সঙ্গে ছিলেন ডা. অয়নাভ দেবগুপ্ত, রিজিওন্যাল সিওও, মনিপাল হসপিটাল (পূর্ব)।
ভারতে প্রতি দুজন হার্ট অ্যাটাক রোগীর মধ্যে প্রায় একজন হাসপাতালে আসে উপসর্গ প্রকাশের ৪০০-এর বেশি মিনিট পরে। এই বিলম্বে ৩০ মিনিটের উইন্ডোর প্রায় ১৩ গুণ সময় পেরিয়ে যায়। মেডিক্যাল প্রফেশনালরা ব্যাখ্যা করেছে যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ১৮ মিনিটের পর থেকে মেডিক্যাল হস্তক্ষেপের অভাবে এটা নিরাময়-অযোগ্য শারীরিক ক্ষতি করতে পারে অপর্যাপ্ত রক্তের জোগানের কারণে। এটাই বুঝিয়ে দেয় জীবন বাঁচাতে বিএলএস প্রশিক্ষণের গুরুত্ব, বিশেষ করে অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের গুরুত্ব, যাঁরা সংকটজনক আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্রথম প্রতিক্রয়া দেখান।
এই ইভেন্ট শুরু হয়েছিল ট্রেনিং সেশন দিয়ে যাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ডা. ইন্দ্রনীল দাস, মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হসপিটালের (মনিপাল হসপিটালের একটি ইউনিট) হেড অব এমার্জেন্সি, ডা. কিষেন গোয়েল, মনিপাল হসপিটাল, ব্রডওয়ের হেড অব এমার্জেন্সি, ডা. সুজয় দাস ঠাকুর, মনিপাল হসপিটাল, মুকুন্দপুরের হেড অব এমার্জেন্সি এবং ডা. অশোককুমার মিশ্র, মনিপাল হসপিটাল, ঢাকুরিয়ার হেড অব এমার্জেন্সি। সংকটজনক জীবনদায়ী কৌশলের ওপর অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা পেয়েছেন ব্যাপক প্রশিক্ষণ, যেমন কার্ডিওপালমোনারি রিসাসসিটেশন (সিপিআর), মেডিক্যাল এমার্জেন্সিকে কীভাবে কার্যকারিতার সঙ্গে সামলানো যায়। তাঁদের শেখানো হয়েছে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের চিহ্ন শনাক্ত করতে এবং রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার গুরুত্বের পাশাপাশি অপরিহার্য ডায়াগনিস্টক সরঞ্জাম যেমন সিটি বা এমআরএই মেশিন এবং ক্যাথারাইজেশন ল্যাবে নিয়ে যেতে। এই প্রশিক্ষণ দিয়েছেন অভিজ্ঞ মেডিক্যাল প্রফেশনালরা, এইসঙ্গে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল আপৎকালীন পরিস্থিতিতে চালকদের উপযুক্ত প্রণালি অনুসরণের প্রয়োজনীয়তায়, যা তাঁদের সক্ষম করবে রোগীদের উপযুক্ত এবং সময়মতো যত্ন নিতে।
জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের অবদানকে সম্মান জানাতে মনিপাল হসপিটাল একটি ব্যাপক সুকল্যাণ পরিকল্পনা চালু করেছে, পাশাপাশি চালক ও তাঁদের পরিবারের কল্যাণ বৃদ্ধির দিকেও গুরুত্ব দিয়েছে। ‘প্রকৃত নায়কদের সেলাম’-এর সঙ্গে সংগতি রেখে, মনিপাল হসপিটাল বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যেমন পারিবারিক পুনর্মিলন, ঘোরাঘুরি এবং কর্মশালা, যা অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও তাঁদের পরিবারকে স্বীকৃতি জানাবে। মনিপাল হাসপাতাল অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের সন্তানদের শিক্ষার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে, তাদের সঠিক কেরিয়ার পছন্দের জন্য বিদ্যায়তনিক পেশাদাররা প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করবেন। উল্লেখ্য, নিউরোলজিস্টদের নেতৃত্বে সেমিনারও পরিচালনা করা হবে শিশুদের পড়াশোনার মান উন্নয়ন ও তাদের স্মৃতি শক্তিশালী করতে। সুকল্যাণ উদ্যোগের অংশ রূপে, হেলথ কার্ড বিতরণ করা হবে অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও তাঁদের পরিবারের মধ্যে। এই কার্ড তাদের মেডিক্যাল খরচ কভার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, নিশ্চিত করবে তাঁরা উন্নত গুণমানের স্বাস্থ্য পরিচর্যা পেয়েছেন।
ঢাকুরিয়ার মনিপাল হসপিটালের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. পিকে হাজরা বলেছেন, ‘ভারতে বিলম্বিত মেডিক্যাল কেয়ারের কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে স্বাস্থ্যের বিপরীত ফলাফল দেখা যায়, 50 শতাংশের বেশি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট রোগী দেরিতে পৌঁছয় হাসপাতালে। অথচ সময়মতো মেডিক্যাল সহায়তা সব পার্থক্য গড়ে দেয়, বিশেষ আপৎকালীন পরিস্থিতিতে, যেমন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা দুর্ঘটনা। বিএলএস প্রদান দ্বারা আমরা ব্যক্তিকে সক্ষম করি দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অগুন্তি জীবন বাঁচাতে। মনিপাল হসপিটাল প্রতিজ্ঞাবদ্ধ প্রশিক্ষণ দিতে এবং একটি শক্তি গঠন করতে যা কার্যকারীভাবে প্রাণ-ঘাতক পরিস্থিতিকে লঘু করতে পারে।’
ডা. বিকাশ কাপুর, ভাইস চেয়ারম্যান, গ্রুপ ডিরেক্টর, জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট অ্যান্ড অর্থ্রোস্কোপিক সার্জন, মেডিকা ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিক সায়েন্সেস, মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হসপিটাল, (মনিপাল হসপিটালের একটি ইউনিট) বলেছেন, মেডিক্যাল এমার্জেন্সির সংকটজন মুহূর্তে একজন প্রশিক্ষিত ব্যক্তি জীবন ও মৃত্যুর মাঝে ফারাক গড়ে দিতে পারে। ‘প্রকৃত নায়কদের সেলাম’ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে আমরা তাঁদের সংকটজনক বেসিক লাইফ সাপোর্ট (বিএলএস) প্রশিক্ষণে সজ্জিত করছি যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সময়মতো তাঁরা কার্যকরী সহায়তা করতে পারেন। যদিও, আমরা উপলব্ধি করি তাঁদের অবদান ছাপিয়ে গেছে তাঁদের পেশাদারি ভূমিকাকে। এজন্যই আমরা তাঁদের কল্যাণের দিকে গুরুত্ব দিয়েছি পরিবার জড়িতকরণ কর্মসূচি, শৈক্ষিক কাউন্সেলিং ও হেলথ কার্ডের মধ্য দিয়ে। তাঁদের পেশাদারি ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং ব্যক্তিগত কল্যাণ উভয় দিকে সহায়তার মধ্য দিয়ে আমাদের লক্ষ্য আত্মবিশ্বাস ও গর্বের সঙ্গে তাঁরা যাতে মূল্যবান পরিষেবা দিতে পারেন তার জন্য তাঁদের সক্ষম করা।
ডা. অপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়, কনসালট্যান্ট, নিউরোলজিস্ট, মনিপাল হসপিটাল, ব্রডওয়ে বলেছেন, ‘মেডিক্যাল আপৎকালীন পরিস্থিতি যেমন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, দুর্ঘটনা প্রভৃতির ক্ষেত্রে সাধারণত প্রথম রেসপন্ডেন্ট হয় অ্যাম্বুল্যান্স চালক। তাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা এবং দক্ষতা সরাসরি রোগীর বেঁচে থাকার ওপর প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে ‘গোল্ডেন আওয়ার’-এ, যা হল জীবনদায়ী মেডিক্যাল হস্তক্ষেপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়সীমা। এই উদ্যোগে মনিপাল হসপিটাল অজানা নায়কদের শক্তিশালী করতে চায় আবশ্যক দক্ষতায় এবং তাঁদের পরিবারকে অর্থপূর্ণ সাহায্য প্রদান করবে।
ডা. অয়নাভ দেবগুপ্ত, রিজিওন্যাল সিওও, মনিপাল হসপিটাল (পূর্ব), বলেছেন, ‘মনিপাল হসপিটালে আমরা হেলথকেয়ারের সমর্থনকারী স্তম্ভদের স্বীকৃতি জানানোয় বিশ্বাস করি, যারা রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা সবসময় প্রেক্ষাপটে থাকে, কিন্তু অপরিচিত ও অস্বীকৃত হিসেবে থেকে যায়। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে, আমরা আশা করি তাদের সামনে নিয়ে আসা যাবে যাতে সবাই বুঝতে পারে এই চালকরা কত গুরুত্বপূর্ণ এবং এইসঙ্গে তাদের সবদিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যাতে তারা রোগীর পরিবারকেও সঠিক তথ্য ও পরামর্শ দিতে পারে। মনিপালে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের এরকম একটি শক্তিশালী পুল তৈরি করতে যাদের থাকবে রোগী শিফট করার মতো ক্ষেত্রে সামলানোর দক্ষতা। মনিপাল তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও শিক্ষায় সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর কেননা আমরা বিশ্বাস করি তাদের পেশাদারি ক্ষেত্রে এবং ব্যক্তিগতভাবে শক্তিশালী করে আমরা তাঁদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে পারবে এবং সমাজে আরও অবদান রাখতে তাঁদের সক্ষমতাও উন্নত হবে।’

 

**About Manipal Hospitals:**
As a pioneer in healthcare, Manipal Hospitals is among the top healthcare providers in India serving over 7 million patients annually. Its focus is to develop an affordable, high-quality healthcare framework through its multispecialty and tertiary care delivery spectrum and further extend it to out-of-hospital care. With the completion of the acquisition of Medica Synergie hospitals and AMRI Hospitals Limited (acquired in Sept 2023), the integrated network today has a pan-India footprint of 37 hospitals across 19 cities with 10,500+ beds and a talented pool of 5,600+ doctors and an employee strength of over 18,600. Manipal Hospitals provides comprehensive curative and preventive care for a multitude of patients from around the globe. Manipal Hospitals is NABH and AAHRPP accredited, and most of the hospitals in its network are NABL, ER, and Blood Bank accredited and recognized for Nursing Excellence. Manipal Hospitals has also been recognized as the most respected and patient-recommended hospital in India through various consumer surveys.