
নিজস্ব প্রতিনিধি : কোচবিহার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫। ব্রেনের কার্যকারিতা ঠিক না থাকার কারণে অথবা নিউরো ডিসঅর্ডারের জন্য অনেক সময় বাচ্চারা সঠিক সময় সঠিক কথা বলতে পারে না। কথা বলতে বা ভাব প্রকাশ করতেও নানা ধরনের অসুবিধা হয়। অথচ সঠিক সময় উপযুক্ত চিকিৎসা এবং থেরাপির মাধ্যমে সেই শিশু অনেকটাই সঠিক ভাব প্রকাশ করতে পারে। তার জন্য ছোটবেলা থেকে শিশুর বাবা-মা বা অভিভাবকদেরও সচেতনতার প্রয়োজন বলে মনে করেন চিকিৎসক ও স্পীচ ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাথলজিস্টরা। এই ব্যাপারে সাধারণ মানুষ ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বাবা-মা ও আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হলো উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের ব্লসমস স্পেশাল স্কুলের আয়োজনে। কর্মশালায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০০ জনের বেশি শিশু এবং তাদের বাবা মায়েরা অংশ নেন।
কর্মশালার বিষয় ছিল “ইন্দ্রিয়জনিত খাদ্য ও পরিবেশ: শিশুদের দৈনন্দিন কাজ ও পেশাগত দক্ষতা বিকাশে ভূমিকা” এবং “প্রসঙ্গহীন শব্দ: অটিজমে যোগাযোগের না-বলা নিয়ম শেখানো”।
বক্তব্য রাখেন বাক ও শ্রবণ বিশেষজ্ঞ মোঃ সাহিদুল আরেফিন ও অভিজ্ঞ অকুপেশনাল থেরাপিস্ট শুভেন্দু মৌলিক।
কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের এমন সমস্যাগুলি তুলে ধরা, যেগুলো বাইরে থেকে বোঝা যায় না। এছাড়া, কীভাবে থেরাপি ও পারিবারিক সহায়তার মাধ্যমে শিশুদের স্বনির্ভর ও দক্ষ করে তোলা যায়, সেই দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আলিপুরদুয়ারের সুপর্ণা মজুমদার বলেন,
“এরকম কর্মশালা সাধারণত শুধু বড় শহরেই হয়। আমরা বহুবার কলকাতায় গিয়েছি চিকিৎসার জন্য। মনে হলো আমাদের জেলাতেও এমন কিছু সম্ভব। সেই ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ।
স্পিচ ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাথলজিস্ট মোঃ সাহিদুল আরেফিন বলেন উপযুক্ত থেরাপির মাধ্যমে অনেকটাই কথা বলার সমস্যার সমাধান করা যায়।
মিঃ মৌলিক বলেন, “সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান—দু’পক্ষকেই দায়িত্ব নিতে হবে। প্রত্যেক শিশুর সমান সুযোগ পাওয়া উচিত, সে শহরের হোক বা গ্রামের।”
সংস্থার কর্ণধার অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, “আমরা চাই পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় একজন করে ড. আরেফিন আর মিঃ মৌলিকের মতো অভিজ্ঞ মানুষ থাকুন, যাতে এই বিশেষ শিশুরা সঠিক থেরাপি পায় এবং উপকৃত হয়।