Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ২৭ জুলাই, ২০২৪। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, কুশল । বহুজাতিক সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কর্মরত দু-দশকের বেশি সময়। মধ্যবিত্ত বাড়ির মেধাবী ছাত্র, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী প্রাপ্তি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বি, ই কলেজ থেকে। বছর খানেক কলকাতায় চাকরি করার পর, চাকরিসূত্রে ক্যালিফোর্নিয়াতে বসবাস , প্রায় উনিশ বছর।

সাহিত্য এবং সঙ্গীত চর্চা, ছোটবেলা থেকেই। বাবা-মা সঙ্গীত শিল্পী এবং শিক্ষক হওয়ার সূত্রে সঙ্গীতের হাতেখড়ি। বেড়ে ওঠার সাথে সাথে গান চর্চার পাশাপাশি গান লেখা, সুর রচনা, কবিতা লেখার প্রবণতা। ডিজিটাল মাধ্যমে রিলিজ করেছেন বেশ কিছু স্বরচিত গান। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে প্রকাশ করেছেন “চেনাশোনা স্বপ্ন” এবং “মেঘ যাযাবর” নামে দুটো মিউজিক অ্যালবাম। কাজ করেছেন রূপঙ্কর বাগচী এবং জয়তী চক্রবর্তীর মতো স্বনামধন্য শিল্পীর সাথে, যাঁরা কুশলের রচিত গান গেয়েছেন।

পরবর্তীকালে, নাট্যরুপ এবং নাটক নির্দেশনার প্রচুর কাজ করেছেন। সামাজিক ভাবে যুক্ত হয়েছেন উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা এবং মঞ্চের সাথে। বঙ্গসম্মেলন সহ বহু সাংস্কৃতিক মঞ্চে পরিবেশিত হয়েছে কুশলের গান, নির্দেশিত নাটক এবং সঙ্গীত। বর্তমানে উত্তর আমেরিকার বাঙালী কমিউনিটি কুশল সুরকার, গীতিকার এবং নাট্যনির্দেশক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

গুরুপ্রনাম :-
ফকির লালন শাহ বাঙালীর গর্ব হয়ে বাংলার ঘরে ঘরে অবস্থান করেন। বাংলা সঙ্গীত, কাব্য এবং শিল্পচর্চায় তিনি মিলে মিশে একাকার। দুই শতাব্দীর বেশি সময় ধরে ওনার গান, জীবন দর্শন এবং আধ্যাত্বিকতা ,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ বাংলা তথা সারা বিশ্বের অনেক গীতিকার, দার্শনিক, কবি এবং সমাজ মনস্কদের অনুপ্রাণিত ও প্রভাবিত করেছে।
লালনের মানবতার দর্শন ও সৃষ্টিসমগ্র তাঁর মিলনের গান মানুষের জয়গান গেয়ে মানবিকতাকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছে ।
ফকির লালন শাহের ( ১৮৯০-১৯১২) ২৫০ বছর পূর্তিকে সম্মান জানাতে কুশলের নিবেদন ”গুরু প্রণাম”। ওনার কালজয়ী রচনাবলী থেকে বাছাই করা ৫ টি গানকে ( “জাত গেল জাত গেল “,” মিলন হবে কতদিনে” ,
” খাঁচার ভিতর অচিন পাখি”,
“মানুষ ভজিলে”, ও
” দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ) পল্লীগীতি, পাশ্চাত্য আধুনিক এবং ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের মেলবন্ধনে পরিবেশনা করা হয়েছে এই এলবামে। যা দেখা যাবে “ভার্চুয়ালি রিয়েল” নামের ডিজিটাল প্লাটফর্ম

“গুরু প্রণাম”এলবামে কুশলের সাথে সঙ্গত করেছেন বরুন দাশগুপ্ত, সৌম্যজ্যোতি ঘোষ, জয়ন্ত দাস, শুভ্র চক্রবর্তী সহ কিছু গুণী বাদ্যশিল্পী। সমগ্র ভাবনা এবং কণ্ঠস্বরে রয়েছেন কুশল।

প্রজেক্ট লক ডাউন :-

১১ মার্চ ২০২০সালে ডব্লিউএইচও কোভিড কে মহামারী হিসাবে চিহ্নিত করার সাথেই সূচনা হয়েছিল এক অন্ধকার সময়ের। এপ্রিল ২০২০নাগাদ, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা কোনও না কোনও লকডাউনের শিকার হয়েছিল। ৯০ টিরও বেশি দেশে ৩.৯ বিলিয়ন মানুষকে তাদের নিজ নিজ সরকার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলো । ২০২০সালের লকডাউনের প্রভাব এবং ব্যাপ্তি মানব ইতিহাসে আগে কখনো দেখেনি ।
কোভিড মাস্ক, স্যানিটাইজারের যন্ত্রনায় দিশেহারা । লক্ষ লক্ষ মানুষ চাকরি হারিয়েছিল, অন্যদিকে অনলাইন বানিজ্যের হাত ধরে শেয়ার বাজার ছিল উর্দ্ধমুখী। কোথাও জমে থাকা অসন্তোষ বিপ্লবের আগুন হয়ে ওঠে, আবার কোথাও মানুষ নিজের নিরাপত্তা ভুলে অভাবী এবং ভুক্তোভুগী মানুষের হাত ধরে পাশে এসে দাঁড়ায় ।
কোভিড সংক্রমণের সেই দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে এবং লক ডাউনে মানুষ ও সমাজের অভিব্যক্তি নিয়ে কুশলের নতুন গানের অ্যালবাম “প্রজেক্ট লক ডাউন। গানের কথা, সুর, কণ্ঠস্বর এবং কুশলের নিজেরই
সঙ্গীত আয়োজনে তৈরী বরুন দাশগুপ্ত, জয়ন্ত দাস, শুভ্র চক্রবর্তী , মনোজ রথ সহ আরো কিছু গুণী বাদ্যশিল্পী ।

কুশলের দুই অ্যালবামের গানগুলি উপলব্ধ হবে প্রথম সারির সবকটি অনলাইন পোর্টালে । গানগুলো নিবেদন করছে “ভার্চুয়ালি রিয়েল” নামের ডিজিটাল প্লাটফর্ম।

কলকাতা প্রেস ক্লাবে এদিন উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়, বিশিষ্ট নাট্যকার পার্থ প্রতিম দেব ,রূপা দেব, অনুপম হালদার ,সঙ্গীত শিল্পী সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ও মৌসুমী ভৌমিক সহ আরো অনেকে।