Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি ; কলকাতা, ২ নভেম্বর, ২০২৩। রাজ্যের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি সংরক্ষণে সাধারণ মানুষকে সচেতন ও সরকারকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল কলকাতার ইন্টিগ্রেটেড ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশন। এদের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই নদিয়ার দেবলগড় ও উত্তর ২৪ পরগনার চন্দ্রকেতুগড়ের অবহেলিত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলির জিও ম্যাপিং ও ড্রোনের মাধ্যমে সেগুলির ফটোগ্রাফি ও তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে । ড্রোনের সাহায্যে তারা অনুসন্ধান করছে ভূপৃষ্ঠে বা কাছাকাছি কোনও নিদর্শন আছে কিনা। তারপর তার ছবি তুলে সেটির সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে।
যেসব ঐতিহ্যবাহী স্থানের সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ দরকার সেগুলির তালিকা তৈরি করে সরকারকে সেই বিষয়ে জানানোরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার নির্দেশক রাহুল চক্রবর্তী ।


তিনি বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অবহেলিত পুরা নিদর্শনগুলি আমরা খুঁজতে শুরু করেছি। অনুসন্ধান করে যা পাওয়া যাচ্ছে সেগুলি নথিভুক্ত করা হচ্ছে। এতে ইতিহাস সংরক্ষণ ও সচেতনতার কাজ একই সঙ্গে হচ্ছে। এ বিষয়ে গত সোমবার উত্তর কলকাতার ডানলপে এনিয়ে রাজ্যস্তরের এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনার বিষয় ছিল ‘জিও হেরিটেজ অ্যান্ড জিও আর্কিওলজি, এ মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচ।’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিওলজি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান অধ্যাপিকা ডক্টর দুর্গা বসু বলেন, সুন্দরবন সহ উপকূলবর্তী এলাকায় অনেক সময়েই খোঁড়াখুড়িতে প্রচুর ঐতিহাসিক নিদর্শন পাওয়া যায়। কখনও কখনও স্থানীয়দের বাধার মুখে সেগুলি উদ্ধার করা যায় না, আবার কখনও সেসব নিদর্শন চোরাচালানকারীদের হাতে চলে যায়। তাই সেগুলি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক ডক্টর কল্লোল দাশগুপ্ত বর্ধমানের অম্বিকা-কালনার মন্দির ঐতিহ্য এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক নিদর্শন রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে বলেন।
দেবগ্রাম দেবল রাজা পুরাতত্ত্ব ও লোকসংস্কৃতি সংঘের সম্পাদক ডক্টর বিশ্বজিৎ রায় বলেন, দেবলগড়ে অনেক পুরাতত্ত্ব নিদর্শন রয়েছে যেগুলি অবহেলিত। সেগুলি চিহ্নিতকরণে ও সংরক্ষণের জন্য তারাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।