বিশেষ প্রতিনিধি : খড়গপুর, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪। বর্ষাকালে অন্য ধানের চাষ হলেও মিনিকিট ধানচাষ প্রায় হয়ই না। কিছু জায়গায় হলেও তাতে রোগ পোকার সমস্যা দেখা যায়। যার ফলে কৃষকেরা ওই সময় মিনিকিট চাষ করতে আগ্রহ দেখান না । তেলেঙ্গানার বীজ গবেষণা এবং প্রস্তুতকারক সংস্থা নুজিভীডু সিডস এবার বর্ষাকালে মিনিকিট ধানচাষের উদ্যোগ নিয়েছে । তাদের প্রয়াসে ইতিমধ্যেই উচ্চ ফলনশীল ‘বর্ষা মিনিকিট ত্রনপি সাতানব্বই ছিয়াত্তর’ধানচাষে সাফল্য মিলেছে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায়।‘বর্ষা মিনিকিট ত্রনপি সাতানব্বই ছিয়াত্তর’রিসার্চ বীজ একমাত্র মিনিকিট যা বর্ষাকালে নির্দিধায় চাষ করা যায়। এই মিনিকিট ধানের উৎপাদনে ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন চাষীরা।
এই প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর ২ ব্লকের জামিরা গ্রামে এই মিনিকিট ধান চাষের সাফল্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী শ্রী উত্তম দাস বাউল তার গানের মাধ্যমে এই ‘বর্ষা মিনিকিট চাষের সাফল্য ও বীজের গুণাগুণ তুলে ধরেন।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই মিনিকিট বর্ষায় চাষ করা যায়। উচ্চ ফলনশীল দানা, ১৩০-১৩৫ দিনের মধ্যে ফসল তৈরী হয়। অন্য চালের থেকে খেতেও সুস্বাদু । বিভিন্ন আবহওয়ায় এই ধানগাছ সহনশীল। গাছ শক্ত হয়ে দাড়িয়ে থাকে, পড়ে যায় না। কম পোকা ও রোগের চাপ, ফলে কীটনাশকের খরচ কমে। ব্যয়ের তুলনায় অধিক আয় হয়।তাই চাষীরা পায় উচ্চ আয়ের সুযোগ।
কর্তৃপক্ষের দৃঢ় বিশ্বাস কৃষকেরা সঠিক পদ্ধতিতে এই বীজ চাষ করলে আগামী দিনে ধান চাষে এক যুগান্তকারী বিপ্লব আসবে। এই রিসার্চ বীজ বর্ষা মিনিকিট বর্ষাকালে চাষ করে চাষী ভাইরা অনেক বেশি পরিমান বোরো ধান ঘরে তুলতে পারবেন। চাষীদের অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ ধান উৎপাদনে অনেক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে তারা মনে করেন।
Related Posts
Spread the loveনিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫। আলোকচিত্রী রাজেন বিশ্বাস কে গত ১৯শে জানুয়ারী রবিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে হ্যালো কলকাতা সংস্থার সম্পাদক-পরিচালক এবং আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রোটারি কসবা এবং…
Read moreSpread the loveStaff Reporter : Kolkata, 21st. January, 2025: Acropolis Mall came alive with excitement and skillful precision as it hosted a day-long Invitational Carrom Tournament in collaboration with the…
Read more