শু ভ জ ন্ম দি ন জু হি চা ও লা
বাবলু ভট্টাচার্য : আজ হয়তো তিনি একজন পরিবেশবিদ হিসেবে হেডলাইন তৈরি করেন, তবে একসময় বড় পর্দায় রাজত্ব করেছেন জুহি চাওলা।
তাকে দেখে কখনই গ্ল্যামার কুইন মনে হত না। বরং ঠিক যেন পাশের বাড়ির মিষ্টি মেয়ে হিসেবেই দর্শকের মন কেড়েছিলেন তিনি।
‘সুলতানাত’ (১৯৮৬) দিয়ে রুপালি পর্দায় যাত্রা শুরু। তবে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ (১৯৮৮) তাকে দর্শকদের কাছে দিয়েছিল পরিচিতি। বলিউডের তিন খান, সঞ্জয় দত্ত, সানি দেওল, ঋষি কাপুরের মতো বহু অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় করে সব হিট ছবি উপহার দিয়েছেন।
বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের সঙ্গে একাধিক হিট ছবি রয়েছে জুহির। এর মধ্যে ‘রাজু বান গায়া জেন্টেলম্যান’, ‘ডর’, ‘ইয়েস বস’, ‘ডুপ্লিকেট’ এখনো দর্শকমনে উজ্জ্বল।
‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ ছাড়াও আমির খানের সঙ্গে রয়েছে ‘হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে’, ‘ইশক’-এর মতো কমেডি ঘরানার ছবি। বেছে বেছে পছন্দের চরিত্রে অভিনয় করেন জুহি।
১৯৮৪ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’ তকমা পান জুহি। সেই সময় হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম মহিলা সুপারস্টার শ্রীদেবীর রাজত্ব। তাই ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকেই প্রতিদ্বন্দ্বীতার মুখোমুখি হন জুহি চাওলা।
এছাড়াও মাধুরী দীক্ষিত, করিশ্মা কাপুর, কাজলের সঙ্গেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হয়েছিল তাকে। তবে তা সত্ত্বেও ফিকে হয়ে যাননি জুহি, নিজের এক আলাদা ইমেজ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’-এর পর জুহির নাম ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। যদিও ‘সুলতনট’ ছবির মাধ্যমে ডেবিও করেন তিনি, তবুও সবার ক্যারিয়ারে একটা টার্নিং পয়েন্ট থাকে। জুহির ক্ষেত্রে সেটা ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’।
জুহির সাফল্যের আরও একটি কারণ ছিল। তিনি কখনও এক নম্বরে পৌঁছতে চাননি। তিনি এই ইন্ডাস্ট্রিকে রুল করতে চাননি। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল ভালো কাজ করা।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংসে জুহি প্যারালাল সিনেমায় নিজের অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করেন। ‘ঝংকার বিটস’, ‘মাই ব্রাদার নিখিল’, ‘আই অ্যাম’-এর মতো একাধিক আর্ট ফিল্মে একদম বাস্তবসম্মত চরিত্রে দেখা যায় তাকে।
অভিনেত্রীদের কমেডি টাইমিং নিয়ে একটা দ্বিধা কাজ করে দর্শকের মধ্যে। জুহি সেই সীমাবদ্ধতাকেও কাটিয়েছেন নিজের কমিক পারফর্মেন্সের মধ্যে দিয়ে। এক কথায়, জুহি সব জঁরে, সব ধরনের চরিত্রেই নিজের ছাপ তৈরি করেছিলেন।
জুহি চাওলা ১৯৬৭ সালের আজকের দিনে (১৩ নভেম্বর) ভারতের হরিয়ানার আম্বালা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।