বিশেষ প্রতিনিধি : কলকাতা, ৭ই জানুয়ারি, ২০২৪। আমাদের দেশে ভি জি যোগ থেকে জুবিন মেহেতা , ইহুদি মেনন থেকে টি এন কৃষ্ণন এমন বহু শিল্পী বেহালা শিল্পী হিসেবে বিশ্বের নজর কেড়েছেন। বাঙালি মহিলা বেহালাশিল্পী শিশির কণা ধর চৌধুরী মুষ্টিমেয় কয়েকজন ছাড়া হারিয়ে গেছেন বিস্মৃতির অতলে। ভালো লাগলো পূর্ব কলকাতায় বাঙালির বেহালাকে আবার নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্রত নিয়েছেন গত দশ বছর ধরে। তাপসবাবুর পারিবারিক ঐতিহ্য বেহালা শিল্পী হিসেবে। ভি জি যোগের কাছে বেঁধেছিলেন নাড়া। শিখেছেন রবীন ঘোষ ও শিশির কণা ধর চৌধুরীর কাছে। কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বাঁশি পণ্ডিত হরণের কাছে। ১৯৯৭ থেকে শিক্ষকতা করেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়াও অতিথি অধ্যাপনা করেছেন সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়ে। আগামী প্রজন্মকে তিনি তাঁর শিক্ষায়তনে শেখাচ্ছেন উত্তর ও দক্ষিণ ভারতীয় এবং আধুনিক মাধ্যম। তাপসবাবু কিছুদিন জোকার বিবেকানন্দ মিশন স্কুলেও শিক্ষাদান করেছেন। লুকিয়ে থাকা প্রতিভার বিচ্ছুরণের জন্য আজ ৭ জানুয়ারি রবিবার দক্ষিণ কলকাতার নিরঞ্জন সদনে আয়োজিত হচ্ছে যন্ত্রসঙ্গীতের অনুষ্ঠান। প্রায় ৫০ জনের একটি শিক্ষার্থীদের দল বৃন্দ বাদনের অনুষ্ঠান থাকছে। সঙ্গতে থাকবে সেতার, এসরাজ, ফ্লুট, তবলা পাখোয়াজ সিন্থেথাইজার তানপুরা। সঞ্চালনা করবেন জয়তী মুখার্জি।
অতিথি শিল্পী হিসেবে থাকছেন অধ্যাপক পণ্ডিত এস হরিহরণ ( ফ্লুট)ও শ্রীনাথ হরিহরণ ( বেহালা)। সঙ্গতে ড: শুভাশিস বসু ও জয়তী মুখার্জি। বিশিষ্ট পাঁচ ব্যক্তিত্বকে প্রজ্ঞা এওয়ার্ড ২০২৩,, তুলে দেওয়া হচ্ছে। সম্বর্ধিত হবেন বাংলাদেশের জনাব কালাম মাহমুদ, পণ্ডিত হরিহরণ, পণ্ডিত অমিতাভ মুখোপাধ্যায়, পণ্ডিত প্রতাপ কুমার চক্রবর্তী ও পণ্ডিত সমরেন্দ্র নাথ মুখার্জি। করোনা পরিস্থিতিতে ঘরবন্দী তাপসবাবু সঙ্গীত সম্পর্কে কিছু লেখা পোস্ট করেন সমাজ মাধ্যমে। গুণগ্রাহী হিতৈষীদের অনুরোধে লেখাগুলিকে লিপিবদ্ধ করেছেন বইয়ের পাতায়। আজ রবিবার অনুষ্ঠানের দিন বইটির প্রকাশ হবে। কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে তাপসবাবুর একটি কথা কিন্তু কানে বাজে।ছোটদের হাতে খেলনা বন্দুক তুলে দেবেন না, তুলে দিন একটি বাদ্যযন্ত্র। সুরের ভেলায় চড়ে আগামী প্রজন্ম পাড়ি দেবে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।