Spread the love

গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ৩ এপ্রিল, ২০২৪। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে ভোটের দামামা বেজে গেছে। সমস্ত রাজনৈতিক দল যে যার মতো করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। যদিও কলকাতায় ভোট হতে এখনো যথেষ্ট দেরি আছে তা সত্ত্বেও কোন দলের প্রার্থী বেকার বসে থাকতে রাজি নয়। ইতিমধ্যে সর্বত্র দেয়াল লিখন শুরু হয়ে গেছে। উত্তর কলকাতার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সদ্য বি জে পি দলে যোগ দেওয়া তাপস রায় আজ থেকে কোমর বেঁধে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এই বর্ষীয়ান প্রার্থী বৌবাজার অঞ্চলে নিজের বাড়িতে গেরুয়া সবুজ সামিনায় মুড়ে নির্বাচনী কার্যালয় খুলে ফেলেছেন। মধ্য কলকাতার ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মোড় থেকে সুসজ্জিত মিছিল নিয়ে শুরু করলেন নিজের নির্বাচনী প্রচার। দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক থাকার ফলে প্রচার পর্ব নিয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে তাপস বাবুর। এদিন সঙ্গী ছিলেন স্থানীয় পুরপিতা এবং তাপস বাবুর স্নেহধন্য সমাজসেবী সজল ঘোষ।পদ্ম অনুরাগী সমর্থকের উষ্ণ অভ্যর্থনায় , উচ্ছাসে ভাসলেন বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। স্থানীয় এলাকা সহ আশেপাশের এলাকায় মিছিল চলল দীর্ঘক্ষণ। আশে পাশের বাড়ি থেকে কৌতূহলী সাধারণ মানুষ প্রত্যক্ষ করলেন গেরুয়া মিছিল। উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রটি এই বছর মূলত হচ্ছে ত্রিমুখী লড়াই। তৃণমূল প্রার্থী সাতবারের বিজয়ী লোকসভা সাংসদ অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, বাম দল সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বর্ষীয়ান প্রদীপ ভট্টাচার্য ও বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের মধ্যে।
এক বৈদ্যুতিক বাংলা চ্যানেলে প্রাক্তন সি বি আই কর্তা উপেন বিশ্বাস সাংবাদিককের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন,২০১৫ সালের ২ জানুয়ারি সারদা কাণ্ডের বিরুদ্ধে মধ্যমগ্রামে তৃণমুলের এক কোর কমিটির মিটিংয়ে প্রথম ও একমাত্র বিধায়ক ও তৎকালীন তৃনমূলের নেতা তাপস রায় বলেছিলেন দলের গায়ে যেভাবে কলঙ্কের দাগ লাগছে মোটেই তা প্রত্যাশিত নয়।

আমাদের আরো সাবধান হতে হবে। দলের সমালোচনা এত স্পষ্ট করে মমতা বন্দোপাধ্যায়ও করেননি। তবে কি কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থা তাপসের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে সেটা আমার জানা নেই। দীর্ঘদিনের কংগ্রেসি রাজনীতি থেকে উঠে আসা ছাত্র নেতা তাপস রায়ের বক্তব্য, তৃণমূল দল এমন এক দম্পতিকে বারবার উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে টিকিট দিচ্ছে যাঁরা দীর্ঘ সাত আট বছর মমতা ব্যানার্জির হাত ছেড়ে তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে কুৎসা করেছেন। কি সেই রহস্য আমার জানা নেই। দীর্ঘদিন নিষ্ঠার সঙ্গে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে থাকলেও আমাকে প্রতিপদে অপমান করা হয়েছে। যোগ্যতার সঙ্গে বিধানসভায় মুখ্য সচেতক হিসেবে কাজ করেছি। বরানগর কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে স্থানীয় মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছি। পরিস্থিতির কারণে আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। কারণ সারা ভারতের মানুষ একজন যোগ্য প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বেই একমাত্র নতুন ভারত গড়ে উঠছে। এবং আগামীদিনে ও বিশ্বের দরবারে নরেন্দ্র জীর নেতৃত্বে আমাদের দেশ সর্বোচ্চ স্থান লাভ করতে সমর্থ হবে। মোদীজির গ্যারেন্টিতে দেশের মানুষের সঙ্গে আমিও যথেষ্ট আস্থাশীল । আমি বিশ্বাস করি উত্তর কোলকাতার মানুষ পদ্মফুলে ছাপ দিয়ে এবার বিজেপিতে ভরসা রাখবেন।